welcome to polashibd.com

অর্থ সঞ্চয় করুন, জানুন উপায়

অর্থ সঞ্চয় করুন, জানুন উপায়

 


সঞ্চয় কথাটি শুনতে সহজ মনে হলেও বেশ কঠিন বিষয়। তবে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে মাস শেষে টাকা জমানো সম্ভব। আপনি যদি শিক্ষার্থী কিংবা নতুন আয় শুরু করেছেন এমন অবস্থায় থাকেন তবুও সঞ্চয়ের অভ্যাস করুন। 

শুনতে অসম্ভব মনে হলেও যখনই হাতে কিছু টাকা থাকবে, তা সঞ্চয় করে ফেলুন। এভাবে ধীরে ধীরে দেখবেন, আপনার বেশ টাকা জমে গেছে। আর এই সঞ্চয় জরুরি মুহূর্তে বেশ কাজে লাগবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বেশিরভাগ মানুষের উচিত বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্টে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ করা। অধকাংশ বিশেষজ্ঞ আয়ের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সঞ্চয় করার পরামর্শ দেন। যদি এটি এখনই সম্ভব না হয়, তবে আপনি যতটুকু পারেন সেটিই আলাদা করে রাখা শুরু করুন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিমাণ বাড়ান। এ ছাড়া সঞ্চয় করতে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

জরুরি তহবিল
সঞ্চয়ের শুরুতেই একটি জরুরি তহবিল তৈরি করুন। অন্তত তিন মাসের জীবনযাত্রার ব্যয় আলাদা করে রাখার লক্ষ্য রাখুন। তিনমাস না পারলেও একমাস চলার টাকা অবশ্যই আলাদা করে রাখতে হবে। কারণ যদি আপনি চাকরি হারান বা ব্যবসায় বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন হন তখন এই জরুরি তহবিল থেকে ব্যয় করতে পারবেন।

ঋণ পরিশোধ করুন
সঞ্চয়ে টাকা বিনিয়োগের আগে উচ্চ হারে কোনো ঋণ নেওয়া আছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিন। যদি উচ্চ হারে কোনো ঋণ নেওয়া থাকে তাহলে আগে ঋণের টাকা পরিশোধ করুন। তারপর সঞ্চয়কৃত টাকা বিনিয়োগ করুন।

খরচের তালিকা তৈরি
সঞ্চয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ খরচের তালিকা তৈরি। আপনি যা ব্যয় করছেন তার হিসেব লিখে রাখুন। এতে করে আপনি কীভাবে সঞ্চয় করতে পারেন সে বিষয়ে ভালো ধারণা পাবেন।

বাজেট তৈরি
সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে বাজেট তৈরি করা যেতে পারে। এক মাসে কতটুকু খরচ করবেন, তা নির্ধারণ করে রাখলে সঞ্চয়ের সুবিধা হয়। যে জিনিসটি চলতি মাসে না কিনলেও চলবে, তা পরের মাসের জন্য রেখে দেওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই এই বাজেটের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনের জন্য কিছু টাকা রাখতে হবে।

নির্দিষ্ট সঞ্চয় পরিকল্পনা
মাসে কতটুকু আয় হচ্ছে এবং কত ব্যয় হচ্ছে, তা নির্ধারণের পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করা যেতে পারে। মোট আয়ের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সঞ্চয় করা সম্ভব হলে ভালো। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী এটি কমানো যেতে পারে।

সঞ্চয়ের লক্ষ্য ঠিক করুন
সঞ্চয়ের জন্য একটি লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। কেউ ভ্রমণের জন্য, কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য, কেউ বাড়ি বা গাড়ি কেনার জন্য, কেউ আবার বৃদ্ধ বয়সে একটু ভালো থাকার জন্য সঞ্চয় করেন। আপনি যে কারণে সঞ্চয় করবেন, তা স্থির করুন। সম্ভব হলে লক্ষ্য অনুযায়ী আলাদা আলাদা সঞ্চয় করতে পারেন। তথ্যসূত্র: সিএনএন, বেটার মানি হ্যাবিটস

অণুগল্প

অণুগল্প

 "আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানি না। আর না মানতে পারবো।" বলে বিছানার চাদর খামচে ধরলাম। সাথে সাথেই উনি আলতো ভাবে আমার ঠোঁটদুটো নিজের ঠোঁটের মাঝে নিলেন। চমকে উঠে বিছানার চাদর খামচে ধরেছি । এক সেকেন্ড পরেই উনি আমার ঠোঁট ছেড়ে আমার দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকালেন। হৃদপিন্ডটা রীতিমত বুলেট ট্রেন এর মত ছুটছে। 


নিজের সিক্ত মাতাল গলায় বললেন "কি বললে?" 

এমনভাবে বললেন যেনো শুনতেই পান নি। আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম "অা''' আমি আপনাকে ..... স্বামী হিসেবে মানি না" 

সাথে সাথে আবারো উনি আমার ঠোঁট নিজের ঠোঁটের দখলে নিয়ে নিলেন। তবে এবার আলতো ভেবে নয় একটু জোর করেই.........

আমি ডান হাত দিয়ে তাকে দূরে ঠেলতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু লাভ নেই। যথারীতি আবারো আমার ঠোঁট ছেড়ে আমার মুখ বরাবর এসে শান্ত কণ্ঠে বললেন     "আবার বলো" 

আমি কোনোকিছু বলার ভাষাটাই হারিয়ে ফেলেছি। কি বলবো.. বললে ও কি লাভ। উনি তো শুনছেন না। 

"আপনি কিন্তু....." বলতে না বলতেই আবারো একই কাজ। আমার ঠোঁট নিজের দখলে নিয়ে নিলেন। তবে এবার আলতো করে কামড় বসালেন।  নিজেকে ছাড়িয়ে বললাম "দেখুন আপনি......."

কিন্তু আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ উনি দিলেন না । আমার মুখ নিজের বা হাতে চেপে ধরে গলায় মুখ গুজে আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিলেন। 

আমি ছাড়া পাওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কিন্তু যতই হোক একটা ছেলের শক্তির কাছে মেয়েরা কখনোই পেরে ওঠে না। চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। উনি খুব ভালো করেই জানেন আমি ওনাকে ভালোবাসি না। সম্ভব ও না। তবুও কেনো আমার সাথে এমন করছেন। 

কিছুক্ষন পর আর কোনো উপায় না পেয়ে আমি এমনিতেই শান্ত হয়ে গেলাম। উনি ধীরে ধীরে নিজের মুখ তুলে নিলেন। আর আমার মুখের ঠিক সামনে নিয়ে এলেন। বা হাতটা সরিয়ে আমার ঠোঁট দুটোকে আলতো আঙ্গুল ছুঁয়ে যাচ্ছেন আর নাক দিয়ে আমার গাল ঘষতে লাগলেন .......

ওনাকে এতো কাছে আমি সহ্য করতে পারছি না  "কেনো আমায় বিয়ে করলেন? খুব কি দরকার ছিল?"

উনি আমার গালে আলতো করে চুমু দিলেন আর ফিসফিস করে বললেন "কাওকে চিরতরে কষ্ট দেওয়ার মুক্ষোম রাস্তাটাই হলো নিজের কাছে বন্দী রাখা। আর এই সমাজে তার সবথেকে সহজ উপায় "বিয়ে"" 

বলে ঠোঁট থেকে আঙ্গুল সরিয়ে গেল ঘষতে লাগলেন ।

"কেনো ? আমি আপনার কোন ক্ষতিটা করেছি? কিসের কষ্ট দিতে চান আর? এর থেকে বেশি আর কি কষ্ট দেবেন আমায়? "

উনি মুচকি হাসলেন "সময়ের সাথে সাথে কষ্টের ধরণ ও কারণ দুটোই স্পষ্ট হয়ে যাবে ......."

বলে আবারো আমাকে টেনে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। 

"দয়া করে ছাড়ুন আমাকে .... আমি আপনাকে........." 

আমার কথা শেষ করার আগেই আমার মুখ একহাতে চেপে ধরলেন উনি ও রাগান্বিত কণ্ঠে বললেন 

"তুমি কি কোনোভাবে আমার কাছে প্রাণভিক্ষা চাইছো? আমি কি গুন্ডা নাকি ধর্ষক? কোনটা? খুব শখ দয়া নেওয়ার! ওকে......." 

বলেই উনি রীতিমত আমার ঠোঁট কামড়ে ধরলেন। এই মুহূর্তে আমার উপরে ভালোবাসা নয় তবে আমার বলা একটি বাক্যের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনের এই একটাই পথ ওনার কাছে।  ব্যাথায় আমার চোখ থেকে অঝোরে পানি পড়ছে। আস্তে আস্তে উনি আমার শাড়ীর আঁচলটা ফেলে কুচিগুলো খুলতে লাগলেন। 

শত ধাক্কা দিয়েও তাকে একচুলও নড়াতে পারলাম না, উল্টো আমার প্রতিটা আঘাতের জন্য ওনার অত্যাচার তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। 

কষ্টে চোখ খিচে বন্ধ করে নিলাম , আর কোনো উপায় নেই আমার.......

..........................🎊

গালে কিছু একটার স্পর্শ অনুভব হলো। এমনিতেই রাতে তেমন ঘুমোতে পারিনি, চোখ মুখ কুঁচকে বিরক্তিভাব নিয়ে চোখ ডলতে ডলতে তাকালাম। 

আমার পাশেই উনি আমার দিকে কাত হয়ে একহাত দিয়ে আমার গালে স্লাইড করে যাচ্ছেন। চোখ চড়কগাছ এ পরিণত হলো আমার। আচমকা সরে যেতে গেলাম, কিন্তু লাভ হলো না। উল্টো আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে নিলেন উনি.......আর রহস্যময়ী এক হাসি ওনার ঠোঁট ছুঁয়েই রয়েছে। 

গতরাতের কথা মনে পড়তেই চোখ সরিয়ে নিলাম তার ওপর থেকে। 

উনি স্বাভাবিক গলায় বললেন "মানুষ ৩ কারণে চোখে চোখ মেলাতে পারে না........ হয় লজ্জা নয় ভয় আর নয়তো......."

"ঘৃণা"  আমি দৃঢ় কণ্ঠে প্রকাশ করলাম। 

উনি আমার কথা তুচ্ছ করে হেসে গলায় মুখ গুজলেন "মানুষ ঘৃণার ভাগটাও সহজে কাওকে দেয় না। আমি তো তাহলে ভাগ্যবান [[ক্ষীণ কণ্ঠে বললেন]] - তোমার ঘৃণাই সই।"

একটা আলতো ভাবে গলায় কামড় দিয়ে উনি তার হাতের বাঁধন আলগা করে দিলেন। আমি গায়ের চাদর জড়িয়ে তার থেকে দূরে সরে উঠে বসলাম। 

উনি দুহাত মাথার নিচে দিয়ে আরাম করার মত ভাবে শুয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। 

আমি আর কিছু না বলে খাট ছেড়ে উঠতে গেলাম । কিন্তু কপাল আমার ষোলো আনা খারাপ। 

পা নামাতে গিয়েই শরীরের ব্যথার কারণে আর এগোতে পারছি না। 

আড়চোখে তাকিয়ে দেখি উনি এখনো  ওভাবেই শুয়ে আছেন। কোনো হেলদোল নেই। 

খুব কষ্ট নিজেকে শান্ত করে আস্তে আস্তে উঠে দাড়ালাম। একপা দুপা সামনে দিতে গিয়েই আবারো পড়ে যেতে গেলাম। সাথে সাথেই খাট ধরে একটু ঠেক দিলাম। শরীরে অসহ্য ব্যাথা। হাটতে অনেকটাই কষ্ট হচ্ছে। আর ওদিকে উনি একটু সাহায্য টুকুও করছেন না। 

আবারো হাঁটার জন্য পা বাড়ালাম পেছন থেকে মৃদু অনুরোধের সুর ভেসে এলো "রাই........"

থেমে গেলাম । উনি বললেন "আজ একটা হলদে রঙের শাড়ি পরবে?" 

কথাটা যতই শুনতে মধুর হোক বা মোহময়ী হোক না কেনো ,,,এখন তার এই ছোট্ট অনুরোধটি ও রাখার মত মানসিকতা আমার মাঝে নেই। 

কিছু না বলে আস্তে আস্তে বাথরুমে ঢুকে গেলাম। 

ঝর্না ছেড়ে অঝোরে চোখের জল বিসর্জন দিচ্ছি। 

কেনো হটাৎ করেই জিবনটা এমনভাবে ঘুরে গেলো! কয়েকটাদিন আগেও তো সব ঠিকঠাক ছিলো। শুধু এই একটা মানুষের জন্যই আমার জীবনের চিত্রটাই বিষাদ হয়ে গেল। এই একটা লোকই চার চারটে জীবনের ছবি ঘুরিয়ে রেখে দিলেন। 

কিছুক্ষন পরে বড়ো টাওয়েল পেঁচিয়ে দরজা হালকা খুলে বাহিরে একটু উঁকি দিলাম। ঘর পুরোই ফাঁকা। উনি কি নেই তাহলে? একপা একপা বেরিয়ে পুরো ঘরে চোখ বুলোলাম। নাহ নেই। 

"যাক ভালো....." 

তাকিয়ে দেখি খাটের ওপরে একটা হলদে রঙের শাড়ি বের করে রাখা। দেখে ঠাণ্ডা মাথাটায় ও আগুন জ্বলে উঠলো। মুখ ঘুরিয়ে নিলাম "পরবো না ওটা" 

এগিয়ে আমার সুটকেস খুঁজতে লাগলাম। কিন্তু আশ্চর্য। সুটকেসটা নেই। আমার সব কাপড়চোপড় তো ওটাতেই ছিলো। তাহলে? 

"মা কি কাল বিদায়ের সময় সুটকেস দিতে ভুলে গেলেন? আরে ধুর এখানেই তো ছিলো। কালকেই তো দেখলাম..... এ কেমন কথা বিয়ের পরেরদিন নাকি কাপড় খুঁজে পাচ্ছি না। হলো কিছু!" 

সরঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সুটকেস এট হদিস মিলল না। নির্ঘাত উনিই সরিয়েছেন। হ্যাঁ...... যাতে আমি এই শাড়িটা পরি।

"ভাবি...... ভাবি..... দরজা খোলো আর কতক্ষন? ভাইয়া তো এসে গিয়েছে এখন সবাই তোমার অপেক্ষা করছে....... কই তুমি?" 

"হ্যাঁ.... হ্যাঁ সুমি.... আসছি। তোমরা ,,,, আচ্ছা তুমি যাও আমি আসছি,।।।" বলেই তাড়াতাড়ি শাড়িটা নিয়েই বাথরুমে ঢুকে গেলাম। উপায় নেই। 

একেই বলে "ঝড় আসলে সবদিকই অন্ধকার .......

Where is heaven where is hell

Where is heaven where is hell

 Where is heaven, where is hell, who says it is far away?

 Heaven and hell among human beings, surasura in human beings.

 Whenever Moder gets the conscience to chase Ripur,

 When the hell of self-loathing is on, then it is burnt.

 The virtues of love and affection are bound together.

 Heaven came and stood in our hut.


 -Poet Sheikh Fazlal Karim.

Poetry of the night

Poetry of the night

 Morzina Farsa Leekly,

 Jute look.

 Slightly distorted brain.

 Dusty shirts of the state,

 Black in the dark dirt

 Salwar kameez

 There are no barriers.

  A piece of the moon hangs

 Armpits!

  Turning to the store.

 Displaced.

 In the hotel stale rice bread

 Divya continues to stomach.

 The houses of the Water Development Board were once crowded with residents, officers and employees

 It was great.  Now the haunted house.

 One of their porches,

 The family is his.

 A tin stove, a steel, a dish, a mug, a pot.

 There are blanket kantha, two

 Charikhan.

 Children of God -

 The 'light' swings across the lap.

 Margina happily forgets the sadness,

 The family lives in order

 In the rhythm of time.

বাচ্চার জন্য চিকেন নাগেটস এবার বানান বাড়িতেই খুব সামান্য উপকরণে, দেখুন রেসিপি

বাচ্চার জন্য চিকেন নাগেটস এবার বানান বাড়িতেই খুব সামান্য উপকরণে, দেখুন রেসিপি

 


  • বিকেলের টিফিনে বা বাচ্চা পার্টির জন্মদিনের পার্টিতে খুব কম সময়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন চিকেন নাগেটস।

বাড়ির ছোটদের বাইরের খাবার দিতে ভয় পান অনেক বাবা-মাই। তবে প্যাটিস, নাগেটস কিংবা পিজ্জা খাওয়ার বায়না তো ওরা করবেই। আর তাই খুব সহজ উপায়ে কিছু সামান্য উপকরণ দিয়ে নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন। দেখুন কীভাবে বানাবেন চিকেন নাগেটস।

বোনলেস চিকেন (দেড় কাপ), পাউরুটি (৪ টুকরো), কর্নফ্লওয়ার (২ টেবিল চামচ), আদা-রসুন বাটা (১ টেবিল চামচ), সয়া সস (১ টেবিল চামচ), লঙ্কার গুঁড়ো (১ চা চামচ), গোলমরিচ গুঁড়ো ( ১ চা চামচ), টমেট সস (১ টেবিল চামচ), মাখন (১ টেবিল চামচ), ডিম (১ টি), নুন (স্বাদমতো), ব্রেড ক্রাম্ব (১ কাপ), তেল (ভাজার জন্য)

পদ্ধতি

চিকেন ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন। এবার তা মিক্সিতে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। পাউরুটির চারপাশের খয়েরি অংশ কেটে বাদ দিয়ে জলে চুবিয়ে নিয়েই সাথে সাথে তুলে ফেলুন। তারপর ভালো করে হাত দিয়ে চেপে চেপে জল ঝরিয়ে একটা মণ্ড মতো বানিয়ে নিন। এবার সেটাও মিক্সারের বাটিতে দিয়ে দিন চিকেনের সাথে। এবার তাতে একেএকে যোগ করুন কর্নফ্লাওয়ার, আদা-রসুন বাটা, সয়া সস, লঙ্কার গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, টমেট সস, মাখন, পরিমাণমতো নুন। তারপর আরও ২-৩ মিনিট মিক্সি চালান। 

এবার রান্নাঘরের টেবিল ভালো করে পরিষ্কার করে তাতে সামান্য তেল মাখিয়ে চিকেনের মিশ্রণ ঢেলে দিন। হাতে তেল লাগিয়ে চাপ দিয়ে দিয়ে চৌকনো আকার দিয়ে তা ছড়িয়ে দিন। এবার ছুড়ি দিয়ে তা চৌক অথবা তিন কোনা করে কেটে নিন। 

এবার সাবধানে একটা টুকরো তুলুন। সেটার গায়ে ভালো করে কর্নফ্লাওয়ার মাখান। তারপর ডিমের মধ্যে চুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বস লাগিয়ে দিন গায়ে। এভাবে এক-এক করে সমস্ত নাগেটসর কোটিং তৈরি করে নিন। ভাজার আগে কোটিং করা নাগেটস ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারেন। ভাজার ১০ মিনিট আগে বের করে নেবেন।

 এরপর তেলে সোনালি করে ভেজে তুলুন। মাঝারি আঁচে ভাজলে বাইরেটা খাস্তা ও ভিতর নরম থাকবে। টিস্যু দিয়ে অতিরিক্ত তেল মুছে দিয়ে স্যস বা মেয়োনিজের সাথে পরিবেশন করুন চিকেন নাগেটস।

সহকারী শিক্ষকের ঘুষিতে প্রধান শিক্ষক হাসপাতালে

সহকারী শিক্ষকের ঘুষিতে প্রধান শিক্ষক হাসপাতালে

 


গত ৫ দিন ধরে বিদ্যালয়ে বেশ দেরি করে আসছেন কৃষি বিভাগের সহকারী শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন রায়। সে কারণে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত লিখে স্বাক্ষর করেন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম।

সোমবার দুপুরের দিকে এসেও ওই হাজিরা খাতার অনুপস্থিতের জায়গায় জোর করে স্বাক্ষর করেন ভূপতি রঞ্জন রায়। এর কারণ জানতে চাওয়ায় ওই সহকারী শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে অফিস কক্ষে সবার সামনে প্রধান শিক্ষকের নাকে ঘুসি মারেন। পরে অন্যান্য শিক্ষকরা আহত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

সোমবার দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার নামুড়ী স্কুল এন্ড কলেজের অফিস কক্ষে এ ঘটনাটি ঘটে।

আহত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম উপজেলার টাওয়ার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত প্রধান শিক্ষক জানান, অনুপস্থিত লেখার পরেও সেখানে জোর পূর্বক স্বাক্ষরের কারণ জানতে চাওয়ায় সহকারী শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন রায় অফিস কক্ষে সবার সামনে আমার নাকে ঘুসি মারেন। এ সময় বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির এক কর্মচারী ভূপতি রঞ্জন রায়কে সহযোগিতা করেন বলে দাবী করেন তিনি।

নামুড়ী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আলকাছ আলী জানান, ভূপতি রঞ্জন রায় গত ৫ দিন ধরে বিদ্যালয়ে দেরিতে আসছেন। সে কারণে স্যার (প্রধান শিক্ষক) হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত লিখে স্বাক্ষর করেন। কেন অনুপস্থিত লেখা হয়েছে, এ নিয়ে অফিস কক্ষে দুজনের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন রায় প্রধান শিক্ষককে আঘাত করে অফিস থেকে দ্রুত চলে যান।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন রায় মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ওই প্রধান শিক্ষক শুরুতে আমার ওপর উত্তেজিত হলে আমি তার নাকে একটা ঘুষি মেরেছি মাত্র।

আদিতমারী থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নেয়া হবে।

আদিতমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাটি তার জানা নেই। তবে ওই স্কুলে একাধিক মামলা থাকায় দিন দিন জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

#ই-কমার্স কি পাল্টে দেবে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য

#ই-কমার্স কি পাল্টে দেবে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য

 #ই-কমার্স কি পাল্টে দেবে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য

-----------------------------------------------------------------------------------------

#বাংলাদেশে ই-কমার্সের এক নম্বর জায়গাটি এরই মধ্যে চীনের আলিবাবা'র দখলে। বাংলাদেশ নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনও। আর সম্প্রতি এই বাজারে ঢুকেছে পূর্ব ইউরোপের আরেকটি বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউভি। বড় বড় বিদেশি কোম্পানিগুলো কেন হঠাৎ এতটা আগ্রহী হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ নিয়ে? বাংলাদেশে ই-কমার্সের অবস্থা আসলে কী? ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট রেজোয়ানুল হক জামির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছেন বিবিসি বাংলার মোয়াজ্জেম হোসেন:


#বাংলাদেশে ই-কমার্সের অবস্থা কি?


বাংলাদেশে ই-কমার্স বাড়ছে খুবই দ্রুত। গত তিন বছর ধরে এই খাতের প্রবৃদ্ধি প্রায় একশো ভাগ। অর্থাৎ প্রতি বছর প্রায় দ্বিগুন হয়ে যাচ্ছে এই খাত।


ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের হিসেব অনুযায়ী এই খাতে মাসে এখন প্রায় সাতশো কোটি টাকা লেন-দেন হচ্ছে। অর্থাৎ বার্ষিক লেন-দেন এখন আট হাজার কোটি টাকার বেশি।


একশো ভাগ প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে সামনের বছর এটি হবে ১৬ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা। ইক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট রেজোয়ানুল হক জামি বলেন, বাংলাদেশে এই মূহুর্তে সাড়ে সাতশোর মতো প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত।


ই-কমার্সে কী ধরণের পণ্য বা সেবার লেন-দেন হচ্ছে।


সব ধরণেই পণ্যই এখন বাংলাদেশে অনলাইনে কেনা-বেচা হয়। এর মধ্যে পচনশীল দ্রব্য- ফলমূল শাকসব্জি যেমন আছে, তেমনি কাপড়-চোপড় ইলেকট্রনিক দ্রব্যও আছে।


তবে উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের ই-কমার্স এখনো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে। অনলাইনে অর্ডার দেয়া গেলেও এখনো নগদ অর্থেই লেন-দেন বেশি। এটাকে বলা হয় ক্যাশ অন ডেলিভারি।


অর্ডার অনলাইনে দেয়া হলেও কল সেন্টার থেকে ফোন করে সেটি আবার নিশ্চিত করা হয়। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পণ্য কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিয়ে ক্যাশ টাকায় পেমেন্ট নিয়ে আসে। কাজেই পূর্ণাঙ্গ ই-কমার্স বাংলাদেশে এখনো সেভাবে চালু হয়নি।


ইক্যাবের রেজোয়ানুল হক জামি বলেন, "একারণে বাংলাদেশে ই কমার্স এখনো অন্য ব্যবসার তুলনায় খুব সস্তায় সেবা দিতে পারছে না। তাদের ব্যবসার খরচ এখনো সেভাবে কমিয়ে আনা যায়নি। কিন্তু তারপরও এর যে গ্রোথ হচ্ছে, তার কারণ বড় বড় শহরে বাইরে গিয়ে কেনা-কাটার যে ঝক্কি, তার চেয়ে বাসায় বসে অনলাইনে কেনা-কাটার স্বাচ্ছন্দ্যটা পছন্দ করছেন অনেকে।"


বাংলাদেশে ই-কমার্সের বড় প্রতিষ্ঠান কারা


এই মূহুর্তে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে দারাজ। চীনের ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা এটা কিনে নিয়েছে। দারাজ শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগে গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠান।


ই-কমার্সে এর পরে যারা আছে তারা সবাই বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান। যেমন আজকের ডিল, বাগডুম, প্রিয় শপ, রকমারি, পিকাবু এবং অথবা।


পূর্ব ইউরোপের একটি বড় ই কমার্স কোম্পানি সম্প্রতি বাংলাদেশে ঢুকেছে। এর নাম কুভি। এরা বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।


আমাজন বাংলাদেশে আসার জন্য বেশ সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সরাসরি হয়তো বাংলাদেশের বাজারে এখনই ঢুকছে না।


ই ক্যাবের রেজোয়ানুল হক জামি জানান, আমাজন বাংলাদেশে গার্মেন্টস সেক্টরে যারা উৎপাদক আছেন, তাদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ করতে চাচ্ছেন। যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ থেকেই তাদের প্রোডাক্ট সোর্সিং করতে চায়।


বাংলাদেশে বহু বছর ধরেই ওয়াল মার্টের সোর্সিং অফিস আছে। এ ছাড়াও চীনে আলিবাবার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী টেনসেন্ট, তারাও আগ্রহী বাংলাদেশ নিয়ে।


তারা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের মার্কেট যাচাই করছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান কবে আসবে, কিভাবে আসবে, এখনো জানা যাচ্ছে না।


ই-কমার্সের প্রসারে প্রধান বাধাগুলো কী?


মূলত তিনটি সমস্যার কথা বলছেন রেজোয়ানুল হক জামি।


প্রথমত, এখনো পর্যন্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি আস্থায় নিতে পারছেন না মানুষ।


দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ সম্প্রতি চেষ্টা শুরু করেছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত তারা সারা বাংলাদেশে ই-কমার্স ডেলিভারির ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি।


আরেকটি বড় সমস্যা যেটি, তা হলো, কোন নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সিস্টেমও নেই। বড় বড় শহরগুলোতে সীমিত পরিসরে ই-কমার্স চালু করা গেলেও দেশের ৭০ ভাগ গ্রামীণ মানুষ এর আওতার বাইরে।


গ্রামীণ মানুষকে তাহলে কিভাবে ই-কমার্সের আওতায় আনা সম্ভব


বাংলাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে যে ডিজিটাল সেন্টারগুলো আছে, তার মাধ্যমে ই-কমার্সকে সেখানে পৌঁছে দেয়ার একটি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।


ইক্যাবের রেজোয়ানুল হক জামি বলেন, এই উদ্যোগটির নাম একশপ। ইতোমধ্যে ছয়শ ইউনিয়নে এটি চালু করা হয়েছে।


একশপ একটি অনলাইন লজিস্টিক এবং মার্কেটিং নেটওয়ার্ক। এর মাধ্যমে ক্রেতাদের সঙ্গে বিক্রেতাদের যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয়া হয়।


বাংলাদেশের সব বড় ই-কমার্স প্লাটফর্ম এর সঙ্গে যুক্ত। এটির মাধ্যমে একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্রেতা-বিক্রেতারাও অনলাইনে ব্যবসায়িক লেন-দেনের জন্য যুক্ত হতে পারবেন।