লালমনিরহাট জেলার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ঃ
--------------------------------------------------------
রংপুর বিভাগ ৮টি জেলা নিয়ে গঠিত। তারমধ্যে অন্যতম একটি জেলা লালমনিরহাট। এই জেলা ১৯৮৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি গঠিত হয়।
♦ জাতীয় নির্বাচনে আসন সংখ্যাঃ ৩টি (১। পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধা, ২। কালিগন্জ ও আদিতমারী এবং ৩। লালমনিরহাট সদর)।
♦ থানা বা উপজেলা ৫টি (১। পাটগ্রাম, ২। হাতিবান্ধা,৩। কালিগন্জ, ৪। অাদিতমারী ও ৫। লালমনিরহাট সদর।)
♦ পৌরসভাঃ ২টি, (লালমনিরহাট ও পাটগ্রাম)
♦ ইউনিয়ন সংখ্যাঃ ৪৫টি,
♦ মৌজাঃ ৩৮২টি,
♦ গ্রামঃ ৪৭৮টি,
♦ আয়তন ১,২৪৭.৩৭ বর্গ কিঃমিঃ,
♦ জনসংখ্যা আনুমানিক ১৪ লক্ষ প্রায়,
♦ নদীর সংখ্যাঃ ৬টি,
♦ কৃষির উপর মানুষ নির্ভরশীল ৬০% (ধান, পাট,
আলু, ভুট্টা ও তামাক অন্যতম)
♦ শিক্ষার হার ৬৫%
♦ কলেজের সংখ্যাঃ ৪৫টি।
♦ স্কুলের (মাধ্যমিক) সংখ্যাঃ ৩৬২টি।
♦ প্রাইমারী স্কুলের সংখ্যাঃ ৭৮২টি।
♦ মাদ্রাসার সংখ্যাঃ ৮১টি।
♦ সীমানাঃ লালমনিরহাট জেলার উত্তরে ভারতের
পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে রংপুর জেলা, পূূর্বে কুড়িগ্রাম
জেলা ও পশ্চিমে নীলফামারী জেলা অবস্থিত।
♦ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় লালমনিরহাট ৬ নং সেক্টরের অধীন ছিল। ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে
এই জেলা হানাদার মুক্ত হয়। এই জেলা ছিটমহল ব্যষ্টিত, এখানে ৫৯ টি ছিটমহল আছে (যদিও বাংলাদেশ ভারতচুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে উভয় দেশের ছিটমহল বিনিময় হয়) এ জেলা তিস্তা ও ধরলা নদী ব্যষ্টিত।
♦ জেলার বিখ্যাত স্থান সমূহঃ-
১। ১০ একর বিশিষ্ট ক্যাম্পাস -লালমনিরহাট সরকারি
কলেজ
২। তিনবিঘা করিডোর ও দহগ্রাম আঙ্গরপোতা ছিটমহল।
৩। পাথরের খনি।
৪। বুড়িমারী স্হল বন্দর।
৫। তিস্তা ব্যারেজ ও রেস্ট হাউজ।
৬। কবি শেখ ফজলল করিমের বাড়ি ও কবর।
৭। তুষভান্ডার জমিদার বাড়ি।
৮। কাকিনা জমিদার বাড়ি
৯। কালীবাড়ি মসজিদ ও মন্দির একই স্হানে।
১০। সিন্দুর মতির দীঘি।
১১। সুকান দীঘি।
১২। আয়তনে এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান
ঘাটি।
১৩। হালা বটেরতল।
১৪। লালমনিরহাট জেলা জাদুঘর।
১৫l দালাইলামা ছড়া সমন্বিত খামার প্রকল্প।
১৬। প্লাস্টিকের তৈরি বোতল বাড়ি।
১৭। লালমনিরহাট পূর্ব আঞ্চলিক রেল বিভাগ।
১৮। পাটগ্রাম ধবলগুড়ি শালবন।
১৯। হাতিবান্ধা দইখাওয়া শালবন।
♦নামকরনঃ
লালমনিরহাট নামকরন নিয়ে বিভিন্ন মতামত পরিলক্ষিত
জনশ্রুতি আছে যে, ব্রিটিশ সরকারের আমলে
রেলপথ বানানোর সময় শ্রমিকরা এই অঞ্চলে বন
জঙ্গল কাটতে গিয়ে জনৈক ব্যক্তি লালমনি নামক শিলালিপি পেয়েছিল সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে
লালমনিরহাট নামের উৎপত্তি হয়েছে।
আবার কেউ কেউ মনে করে বিপ্লবী কৃষক নেতা
নুরুলদ্দীনের ঘনিষ্ঠ সাথী লালমনি নামের এক ধনাঢ্য
মহিলা ছিলেন, যার নামানুসারে লালমনিরহাট নামকরন করা হয়। (সংগৃহীত)