গত ৫ দিন ধরে বিদ্যালয়ে বেশ দেরি করে আসছেন কৃষি বিভাগের সহকারী শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন রায়। সে কারণে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত লিখে স্বাক্ষর করেন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম।
সোমবার দুপুরের দিকে এসেও ওই হাজিরা খাতার অনুপস্থিতের জায়গায় জোর করে স্বাক্ষর করেন ভূপতি রঞ্জন রায়। এর কারণ জানতে চাওয়ায় ওই সহকারী শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে অফিস কক্ষে সবার সামনে প্রধান শিক্ষকের নাকে ঘুসি মারেন। পরে অন্যান্য শিক্ষকরা আহত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
সোমবার দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার নামুড়ী স্কুল এন্ড কলেজের অফিস কক্ষে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম উপজেলার টাওয়ার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত প্রধান শিক্ষক জানান, অনুপস্থিত লেখার পরেও সেখানে জোর পূর্বক স্বাক্ষরের কারণ জানতে চাওয়ায় সহকারী শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন রায় অফিস কক্ষে সবার সামনে আমার নাকে ঘুসি মারেন। এ সময় বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির এক কর্মচারী ভূপতি রঞ্জন রায়কে সহযোগিতা করেন বলে দাবী করেন তিনি।
নামুড়ী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আলকাছ আলী জানান, ভূপতি রঞ্জন রায় গত ৫ দিন ধরে বিদ্যালয়ে দেরিতে আসছেন। সে কারণে স্যার (প্রধান শিক্ষক) হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত লিখে স্বাক্ষর করেন। কেন অনুপস্থিত লেখা হয়েছে, এ নিয়ে অফিস কক্ষে দুজনের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন রায় প্রধান শিক্ষককে আঘাত করে অফিস থেকে দ্রুত চলে যান।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন রায় মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ওই প্রধান শিক্ষক শুরুতে আমার ওপর উত্তেজিত হলে আমি তার নাকে একটা ঘুষি মেরেছি মাত্র।
আদিতমারী থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নেয়া হবে।
আদিতমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাটি তার জানা নেই। তবে ওই স্কুলে একাধিক মামলা থাকায় দিন দিন জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।