শরীর সুস্থ রাখা এক কথা। জীবন সুন্দর রাখা আর এক। দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারাই অনেক ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে মেয়েদের সবচেয়ে বড় ভাবনার। সুস্থ শরীরে আনন্দে থাকতে কে না চায়? কিন্তু কী করতে হবে জীবন সুন্দর রাখতে? রোজের কিছু নিয়ম আছে। কাজ-সংসারের হাজার ব্যস্ততার মাঝেও খেয়াল রাখতে হবে সে সব দিকে।
কী করলে বজায় থাকবে ভারসাম্য?
চলো নিয়ম মতে
সময়ের কাজ সময়ে করতে বলা সহজ। তবে কাঁটা ধরে সবটা করা মোটেও সহজ নয়। কিন্তু সেটাই করতে হবে। সময় মেনে ঘুমোতে যেতে হবে, উঠতেও হবে ঠিক সময়ে। তার পরেই বেরিয়ে পড়তে হবে হাঁটতে। অন্তত ৪৫ মিনিট জোড়ে হাঁটাহাঁটি। হাল্কা চালে করলে হবে না।
খাওয়াদাওয়া
তা-ও হতে হবে নিয়ম মেনে। সকাল ৯টায় প্রাতরাশ, ১টার মধ্যে দুপুরের খাওয়া, ৭টায় নৈশভোজ। শরীর সুস্থ রাখতে এমনই হবে। তাতে স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। সব ঠিকঠাক থাকলে তবে তো দেখতে সুন্দর লাগবে।
ব্যায়াম
সকালে হাঁটা এক কথা। তবে অন্য সময়ে আরও কিছু ব্যায়াম করতে পারলে ভাল। তা প্রাণায়াম কিংবা সাধারণ যোগ অভ্যাসও হতে পারে। মূলত শ্বাস-প্রঃশ্বাস স্বাভাবিক রাখতেই এই নিয়ম মানা প্রয়োজন।
ত্বকের যত্ন নিন
সাজগোজ আলাদা। আর চেহারায় সুস্থতার লক্ষণ হল অন্য রকম। সে কারণে ত্বকের দেখভাল খুব জরুরি। নানা রকম পরিচর্যা চাই, এমন নয়। তবে যা প্রয়োজন, তা হল নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করা। আর তার সঙ্গে দরকার যথেষ্ট পরিমাণ সব্জি আর ফল খাওয়া।
চল্লিশ পেরোলেই
চল্লিশ পেরোনো মানে সময় হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া নয়। সময়টা বদলানো। সেই বুঝে নিজের দিকে একটু অন্য ভাবে নজর দেওয়া। ঋতুবন্ধের সময় ধীরে ধীরে কাছে আসবে। এই সময়ে শরীরে কিছু হর্মোন নিঃসরণের ক্ষেত্রে বদল দেখা দেয়। যে কারণে ভিটামিন, ক্যালশিয়ামে ঘাটতি হতে পারে। তাই সেই মতো খাবার প্রয়োজন শরীরের।
এ সব কথা মাথায় রেখে চলতে পারলে, ব্যস্ততার মাঝেও কিছুটা ভারসাম্য রক্ষা করা যাবে যাপনে। শরীর-মন থাকবে চনমনে।